টিফিনের টাকায় ধূমপান করছে শিক্ষার্থীরা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক পণ্য বিক্রি হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের ওপর। তারা টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ধূমপান করছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের মাদক বিক্রিতেও জড়িয়ে পড়ছে। মাদক বিক্রিতে শিশুরা কীভাবে সম্পৃক্ত হচ্ছে, কতজন জড়িত সেটা নিয়ে জরিপ করা উচিত। এদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকসহ সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সোচ্চার হতে হবে। এ ছাড়া ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে।

এক শলাকা সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে। তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহযোগিতায় ‘ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) বিগ টোব্যাকো টিনি টার্গেট বাংলাদেশ’ শীর্ষক জরিপের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা এ কথা বলেন। গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে ইফসা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সংবাদ সম্মেলন ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ইপসার উপ-পরিচালক নাসিম বানু।

সেখানে দেখা যায়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি জেলা থেকে নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ৯০ শতাংশ ও খেলার মাঠের ১০০ শতাংশের মধ্যে তামাক পণ্যের বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। গড়ে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ছয়টি। ৭৭ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে শিশুদের চোখের এক মিটার দূরত্বে তামাক পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। ৩৩ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে চকোলেট, মিষ্টি বা খেলনার পাশে তামাক পণ্য দেখা গেছে।

এ ছাড়া ৮৪ শতাংশ বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের স্টিকার, ডেমো প্যাকেট, ফেস্টুন, ফ্লায়ার প্রদর্শনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। ১৪ শতাংশ বিজ্ঞাপন হচ্ছে পোস্টারে, এক শতাংশ হচ্ছে ছাতায় তামাক কোম্পানির ব্র্যান্ডিং এবং এক শতাংশ বিলবোর্ডের মাধ্যমে। এ ছাড়া তামাক পণ্য বিক্রিতে প্রণোদণামূলক কার্যক্রম, উপহার ও মূল্যছাড় দেওয়াসহ নানা বিষয় ধরা পড়েছে জরিপে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর